রকমারী

কক্সবাজার সৈকতে ভয়ংকর সাপ, ভারতে সতর্কতা

কক্সবাজার সৈকতে ইয়েলো বেলিড সাপের বিচরণ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ধরনের সাপ নিয়ে গত প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিঘা সৈকতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিঘা সৈকতটি বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত। ভারতে এই সাপের প্রতিষেধক বা এন্টিভেনম না থাকায় এ সাপের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সাম্প্রতি কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি ইয়েলো বেলিড সাপের দেখা পাওয়া যায়। বিষধর সাপ ‘ইয়েলো বেলিড’ বা ‘হলদে পেটি’। সামুদ্রিক এ সাপটি এখন বিচরণ করছে কক্সবাজার সৈকতে। গত জুনেও কক্সবাজার সৈকতে এই সাপের বিচরণ দেখা গেলেও কাউকে আক্রমণ করার খবর পাওয়া যায়নি।

তথ্যমতে, ‘ইয়েলো বেলিড’ সাপ বিশ্বের ৮টি ভয়ংকর সামুদ্রিক সাপের মধ্যে অন্যতম। এই সাপের দংশনে মৃত্যুর হার ৮০ ভাগ। কক্সবাজারে এই সাপের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও প্রায় ৬ মাস আগে দুবলার চর সৈকতে এক জেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুবলার চর সৈকতের ওই জেলে সাপটিকে মৃত ভেবে লাথি মেরেছিল। ফলে সাপটি ওই জেলেকে আক্রমণ করে বসে। এমনিতে কোনো সাপ কাউকে আক্রমণ করে না।

ইয়েলো বেলিড সাপের কামড়ে শরীর প্যারালাইজড হয়ে যায়। কিডনি, হার্ট আক্রান্ত হয় এবং ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। প্রস্রাবের রঙও পাল্টে যেতে পারে। তাই এই সাপের ব্যাপারে জেলেসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্কতার প্রয়োজন।
একটি প্রাপ্তবয়স্ক ইয়েলো বেলিড সাপের গড় দৈর্ঘ্য ৩ ফুট। সাপটির একটি মসৃণ আঁশ এবং একটি মসৃণ আকৃতির শরীর রয়েছে। এর নিচের অংশ হলুদ এবং পিঠ নীলচে কালো এবং লেজ নৌকার দাড়ের মতো চ্যাপ্টা হলুদ পুচ্ছ বিশিষ্ট, যাতে সাপটি সাগরে নির্বিঘ্নে সাঁতার কাটতে পারে।