রকমারী

দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আপিল করবেন আজ

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করবেন নোবেল বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী অর্থর্নীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (রোববার) রাজধানীর কাকরাইল সংলগ্ন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল ফাইল করার কথা রয়েছে। গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন তার কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ প্রতিবেদকে তিনি বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দণ্ডিত প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রোববার। একই সঙ্গে দণ্ডিত গ্রামীণ টেলিকমের অপর চার কর্মকর্তাও আপিল করবেন। আপিলে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আমরা ২৫টি যুক্তি তুলে ধরবো। সকাল ১০টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাজির হয়ে আমরা আপিলের পাশাপাশি জামিনও চাইবো।

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় সরকারপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো: শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেয়া হয়।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো: শাহজাহান। তাদেরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ড. ইউনূসসহ আসামিদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।