রকমারী

‘ক্যানসারে দৈনিক মারা যাচ্ছে ৩১৯ জন, বেশি পুরুষের’

দেশে দৈনিক গড়ে ৪৫৮ জন নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। আর ক্যানসারে দৈনিক গড়ে মারা যাচ্ছে ৩১৯ জন। যাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে এমন চিত্রই দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রোগের প্রকোপের তুলনায় দেশে চিকিৎসাব্যবস্থা অপ্রতুল।

আজ ৪ ফেব্রুয়ারি, রোববার বিশ্ব ক্যানসার দিবস। দিনটি সামনে রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৮৫টি দেশের ক্যানসার পরিস্থিতির অনুমিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ২ ফেব্রুয়ারি। সর্বশেষ ২০২২ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান আছে। বৈশ্বিক পরিসংখ্যান ছাড়াও প্রতিটি দেশের পৃথক পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সংস্থাটি বলছে, বৈশ্বিকভাবে ক্যানসারের বোঝা বড় হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৫৬ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। বছরে ক্যানসারে মারা যাচ্ছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮ জন। মৃত্যুও দেখা যায় পুরুষের বেশি। মৃত রোগীদের হিসাব বাদ দিয়ে দেশে এখন ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৬ হাজারের কিছু বেশি।

কমপক্ষে ৩২ ধরনের ক্যানসারে এ দেশের মানুষ আক্রান্ত হন বলে তথ্য দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ক্যানসার দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এ রোগের চিকিৎসা চলে দীর্ঘদিন। ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। দরিদ্র মানুষের পক্ষে ক্যানসারের চিকিৎসা শেষ করে আরোগ্য লাভ করা কঠিন। দেশের ধনীদের একটি বড় অংশ ক্যানসার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। আস্থা রেখে ক্যানসার চিকিৎসা করা যায়, এমন প্রতিষ্ঠান দেশে এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি।

বাংলাদেশে খাদ্যনালির (গলবিল থেকে খাদ্যনালি পর্যন্ত) ক্যানসার সবচেয়ে বেশি। দেশে প্রধান পাঁচটি ক্যানসারের মধ্যে আছে- খাদ্যনালি, ঠোঁট ও মুখ, ফুসফুস, স্তন ও জরায়ু ক্যানসার। পুরুষের ক্ষেত্রে খাদ্যনালির ক্যানসার বেশি, আর নারীর ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার বেশি। তবে মৃত্যু বেশি হচ্ছে খাদ্যনালির ক্যানসারে।

জনস্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশি বয়স পর্যন্ত বাঁচলে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ, হৃদ্রোগ, কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে।