লালমনিরহাটে বিএনপি কর্মীদের হামলায় যুবলীগ নেতা নিহত, বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগ
এস বাবু রায়, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।হরতালকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটে আওয়ামীলীগের তিন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে যখম ও যুবলীগ এক নেতার মৃত্যুর ঘটনায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ও রেলওয়ে শ্রমিক দলের কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধায় আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নিজস্ব কার্য়ালয়ে আগুন লাগিয়ে দিলে পুরে যায় সমস্ত আসবাব ও বিভিন্ন কাগজপত্র।
জানা যায়, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের মৃত্যু ও বিএনপির সহিংসতার প্রতিবাদে বিকেলে স্থানীয় বিডিআর গেট এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় জেলা আওয়ামীলীগ।
এর আগে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা সেখানে সারাদিন শান্ত সমাবেশ করে। সেখানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবীর সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্রথমে জেলা বিএনপি কার্যালয় সেখান থেকে মিশন মোড়ে এসে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নিজস্ব কার্য়ালয় এবং সব শেষে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ে শ্রমিক দলের কার্যালয়ে ভাংচুর ও আগুন দেয়।
এক পর্যায়ে মিশন মোড় এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় দুলুর নিজস্ব অফিস ও খামার বাড়ীতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে শহর জুড়ে থমথমে অবস্থা, পাল্টা হামলার আশঙ্কা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা বলেন, এটি একটি ন্যাক্কার জনক ঘটনা। রাজনৈতিক মতো পার্থক্য থাকতেই পারে। তাই বলে কেউ কারো স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর বা অগ্নি সংযোগ করতে পারে না। কোন সভ্য মানুষ এ রকম কাজ করতে পারে না। আমি এ আওয়ামীলীগের এ রকম কর্মকান্ডের তিব্র নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে সদর থানার ওসিকে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।