খেলার খবর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে হেরে অবসরের ঘোষণা স্মিথের

স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নবম আসরের প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের বিদায়ের মাঝে আরেকটি দুঃসংবাদ পেল অজি ক্রিকেট সমর্থকরা। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পরের দিনই আকস্মিক ওয়ানডে থেকে অবসরে ঘোষণা দিয়েছেন স্টিভ স্মিথ।

প্যাট কামিন্সের ছিটকে যাওয়া পর স্মিথকে অধিনায়ক করেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দল পাঠিয়েছিল অজিরা। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে সেই টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোলেও সেমিতে ভারতের কাছে হেরে বাদ পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেমিতে ভারতের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেছিলেন স্মিথ। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও কেউ ধারণা করতে পারেননি যে, স্মিথ এমন ঘোষণা দেবেন।
শুধুমাত্র একদিনের ক্রিকেট থেকে কেন সরে গেলেন স্মিথ? বিশেষত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দারুণ ইনিংস খেললেন। সীমিত পুঁজি নিয়ে দুর্দান্ত অধিনায়কত্বও করেন এই অজি তারকা। নাহলে বড়সড় ভরাডুবির মুখে পড়তে হত অস্ট্রেলিয়ার। এরপরও ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার।

আজ সকালে এক বার্তায় স্মিথ বলেন, ‘এটাই সরে যাওয়ার সঠিক সময় বলে মনে হচ্ছে। এই সফরটা দুর্দান্ত ছিল। আর সেটার প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি। অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে খেলার সময়, অনেক অসাধারণ স্মৃতি তৈরি হয়েছে। আর তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জয়ের (২০১৫ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ) বিষয়টা একেবারে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এই ফরম্যাটে অনেক সুখস্মৃতি আছে। আশা করি ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য দল এখন থেকেই প্রস্তুতি নেবে।’

২০১০ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল স্মিথের। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৫ বছরে স্মিথ খেলেছেন ১৭০ ম্যাচ। ব্যাট হাতে করেছেন ৫৮০০ রান, বল হাতে নিয়েছেন ২৮টি। এই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার হতে দুটি বিশ্বকাপসহ স্মিথ জিতেছেন অনেক কিছুই। ৬৪ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে স্মিথ জয় পেয়েছেন ৩২ ম্যাচে। ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন ৩৫ বছর বয়সী স্মিথ।