রংপুর বিভাগ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা নাহিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

বিশেষ প্রতিনিধি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বংপুর মহানগর শাখার মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের চাঁদাবাজি ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, রংপুরের “গ্রীণ সিটি ইকো পার্কের ম্যানেজিং পার্টনার মোঃ আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। ৩ মার্চ ২০২৫ সোমবার রংপুর মহানগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ও আমার বোন মোছাঃ জেবুন নেছা দুজনেই কানাডা প্রবাসী। আমরা প্রবাস জীবনের দীর্ঘ ২১ বছরের সকল আয় বিনিয়োগ করে রংপুর গ্রীন সিটি ইকো পার্ক নামক প্রতিষ্ঠানটি তিলে তিলে গড়ে তুলেছি। যাহা আমাদের কাছে সন্তানতুল্য। Since we started to purchase the land it was totally brain and uncultivable. দীর্ঘ ২১ বৎসরের বিনিয়োগের মাধ্যমে অত্র এলাকা শ্যামল ও নির্মলতার রূপ ধারন করেছে।

তিনি আরও বলেন, ইকো পার্ক গড়তে প্রয়োজনীয় সকল সরকারী অনুমোদন নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ভূতাপেক্ষ অনুমোদন। সরকারি অনুমোদন থাকা স্বত্তেও
গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর শাখার মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার এর নেতৃত্বে আরও দুই যুবক আমাদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা নগদ ও প্রতিদিন ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে। এবং মোবাইল ফোনে প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি প্রদান করাতে আমি ও আমার সকল কর্মচারীগন জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

চাঁদাবাজির কিছু অংশ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের রংপুর মহানগর নেতা নাহিদের চাঁদা দাবির বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য, ইতোপূর্বে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি পক্ষ। বর্তমানে আমি আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত।।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সার্জিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ সহ সকল সৎ নির্ভিক আগামীর নেতৃত্বের প্রতি দোয়া ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করে এই ধরনের অসৎ চাঁদাবাজদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ রইল।

এই চাঁদাবাজ নাহিদের পক্ষে আজহারুল ইসলাম নামে যে ব্যক্তি প্রেস কনফারেন্স করেন। তিনি ইতিপূর্বে আমার একাউন্ট থেকে ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে ৬৫,০০,০০০/- (পঁয়বাড়ি লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করেন। এজন্য দীর্ঘ দিন জেল/কারা বাস করেন। যার মামলা নং- সি.আর-১১৬/২০। এছাড়াও স্ট্যাম জালিয়াতির মামলা বিচারাধীন আছে, যাহার মামলা নং- জি.আর-৩১৯/২২।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজী বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা নাহিদ হাসান খন্দকার ও আজহারুল ইসলামের যৌথ পরিকল্পনায় ঘটেছে বলে মনে করি। যাহা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী।

চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে মিডিয়াতে বক্তব্য দেয়া নিষেধ আছে। সংবাদ সম্মেলনের ব্যপারে এই মুহুর্তে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা।