রংপুর বিভাগ

পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, তাপমাত্রা নামল ৮ ডিগ্রিতে

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : পৌষ মাসের শুরুতেই পঞ্চগড়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিশেষ করে হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা কনকনে হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। এতে ৬ দিন ধরে টানা মৃদু শৈত্য প্রবাহে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সকালের দিকে দেখা মিলছে সূর্যের।

বুধবার (১৮ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল সকাল ৯টায় তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পৌষ মাসের শুরু থেকে কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। শীতার্ত মানুষেরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে রোদেরও দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির এই মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছে না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এইসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন। প্রাকৃতিক এই বৈরিতা থেকে বাঁচতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আবেদন অসহায়মুখগুলোর।
এদিকে তীব্র শীত আর একটানা কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে, সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল সকাল ৯টায় তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর কুয়াশা নামে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।