রংপুর বিভাগ

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : অগ্রহায়ণ শুরুর পর থেকে তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করে উত্তরাঞ্চলে। শুরুর দিতে হালকা শীত অনুভূত হলেও মাসের শেষের দিকে এসে উত্তরের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে শীত। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে তিন দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীত অনুভব হচ্ছে। সঙ্গে বিকেল থেকে শুরু হয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর। কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা পেতে বেলা গড়াচ্ছে ১০টা পর্যন্ত।

উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে তেঁতুলিয়ায়। আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সকালে পঞ্চগড়ে একদিনের ব্যবধানে এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

এর আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ৯টায় দশমিক ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন চা, পাথর, কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কয়েকদিন ধরে মাঝদুপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে দিন পার করছেন এই জেলার হতদরিদ্র মানুষ।

শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীদের ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।