রান বন্যার শেষ টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর জয় আফগানদের
কাগজে-কলমে শ্রলীংকা আফগানিস্তানের মধ্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টির খুব একটা গুরুত্ব ছিলনা। আগের দুই ম্যাচ জিতে লঙ্কানরা আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল সিরিজ জয়।তবে টেস্ট,ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-সব সিরিজেই হারের পর আফগানিস্তানের সামনের সুযোগ ছিল অন্তত সান্তনার জয় দিয়ে দীর্ঘ সফর শেষ করার। গুরবাজের ঝড়ো ইনিংসের পর বোলারদের কল্যাণে রোমাঞ্চকর লড়াই জিতে সেটি আফগানিস্তান করেছেও।
শেষ ওভারের নাটকীয়তা শেষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলংকাকে তিন রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। দুই দলই এদিন রান তুলেছে দুইশোর উপরে।২১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শেষ দুই বল পর্যন্ত ম্যাচের টিকে থাকা লংকানরা থেমেছে ২০৬ রানে।
শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৯ রান নিয়ে দলকে প্রায় জিতিয়ে ফেলছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস।তবে ‘নো বল বির্তক’ ছাপিয়ে সেটি শেষ পর্যন্ত করতে পারেন নি তিনি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের বিপক্ষে টানা ৮টি ম্যাচ হারের পর অবশেষে জিতল আফগানিস্তান।
মেন্ডিসের ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৫ ছিল লঙ্কা ইনিংসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।তবে এর আগে ৩০ বলে ৬০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ওপেনার পাথুম নিশাংকা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া আফগানিস্তান বড় স্কোরের ভিতটা পেয়েছিল হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের ৪৪ বলে ৮৮ রানের ওপেনিং জুটিতেই।লঙ্কান বোলারদের উপর ঝড় তুলে এই দুইজন পাওয়ার প্লেতেই যোগ করেন ৭২ রান।অষ্টম ওভারে ২২ বলে ৪৫ রান করা জাজাইকে ফেরান আকিলা দনাঞ্জয়া।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে আউট হয়ে ফেরার আগে গুরবাজ করেন ৪৩ বলে ৭০ রান।চারে নেমে আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের২৩ বলে ৩ চারে ৩১ রান ও মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে (১৬*) ২০৯ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় আফগানিস্তান।
জিততে হলে লঙ্কারদের রেকর্ডই করতে হতো। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের লক্ষ্যে জিতেছিল তারা (২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে)।সেই রেকর্ড প্রায় হতে হতেও হলনা স্বাগতিকদের।