উইকেটে নজর দিতে বলে গেলেন বাবর
দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলে খেলতে এসেছেন বাবর আজম। আগের দফায় সিলেট সিক্সার্সের প্রতিনিধিত্ব করা পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার এবার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে। তবে সামনে পিএসএল থাকায় আসরের মাঝপথে বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে হচ্ছে তাকে। বিদায়ের প্রান্তে এসে তিনি শুনিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতা। সেখানে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিকই উঠে এসেছে।
চলতি বিপিএলের রান সংগ্রাহকদের তালিকায় বাবর আছেন দুইয়ে। আসরে রংপুরের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে স্কোয়াডে যোগ দেন তিনি। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে ৫১ গড়ে ও ১১৫.৯০ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ২০৪ রান। নামের পাশে রয়েছে দুটি হাফসেঞ্চুরি। বাবরের উপরে আছেন কেবল মুশফিকুর রহিম। বাংলদেশের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের রান ছয় ম্যাচে ২২৯। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়েছে তার দল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা রংপুর। ম্যাচের আগে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাবর জানান, তার এবারের অভিজ্ঞতা দারুণ, ‘অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত খুব ভালো। আমি পাঁচ ম্যাচ খেলেছি। দলের সবাই যেভাবে পারফর্ম করেছে, তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। তিন বিভাগেই আমরা পরিশ্রম করছি। আসরের বাকি অংশের জন্য দলের প্রতি শুভ কামনা।’
সুযোগ হলে আগামী বিপিএলেও খেলতে আসবেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার, ‘রংপুরের হয়ে সামনেও খেলতে মুখিয়ে আমি। তবে বিভিন্ন সময় আমাদের অনেক আন্তর্জাতিক খেলা থাকে। তাই এখানে ধারাবাহিকভাবে আসা হয় না। কারণ (বিপিএলের) এই সময়ে অনেক আন্তর্জাতিক সিরিজ হয়। সেটা না হলে আমি পরের বছরও খেলার ব্যাপারে আগ্রহী।’
ইতিবাচক অভিজ্ঞতার মাঝে বিপিএলের একটি দিক নিয়ে অসন্তুষ্টি গোপন করেননি বাবর। তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি আসরের উইকেটের উন্নতির পরামর্শ দেন, ‘উইকেট দিনে এক রকম, রাতে অন্যরকম আচরণ করে। ধারাবাহিকভাবে বাউন্স পাওয়া যায় না। আবার সব সময় ধারাবাহিক স্পিনও হয় না, মাঝে মাঝে মন্থর ও নিচু হয়। আমার মনে হয়, উইকেটের দিক থেকে বিপিএলের মান আরও বাড়াতে হবে।’
চোখের সমস্যায় ভুগতে থাকা সাকিব ও বাবর একসঙ্গে খেলেছেন চার ম্যাচ। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারকে নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের মন্তব্য, ‘সাকিব ভাই বয়সে আমার বড়। আমার কাছে মনে হয়, রংপুর রাইডার্স ও তরুণদের জন্য সম্মানের যে সাকিব তাদের দলে আছেন। তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা ছেলেদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। ম্যাচের সময়ও তিনি এটা করেন। এটা খুবই ভালো ব্যাপার। ড্রেসিংরুমে তিনি সব সময় ইতিবাচক ও হাস্যোজ্জ্বল থাকেন।’