রংপুরের তারাগঞ্জে শীতে দুভোর্গে নিম্ন আয়ের মানুষ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় ৫দিন ধরে চলছে শিত্য প্রবাহ। রাতে এক পশলা বৃষ্টি, বইছে হিমেল বাতাস। প্রচান্ড শীতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুভোর্গে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশার কারনে ঘন কুশার কারনে সড়ক-মহাসড়কে যান-বাহন চলাচল করা খুবেই কষ্ট হয়ে পড়েছে। গরীব ও দুঃখী ও অভাবি মানুষ শীতবস্ত্রেও অভাবে নিদারুন কষ্ট স্বীকার করে দিনাতিপাত করেছেন।
ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড শীতের কারনে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য ঘরের বাহিরে যেতে পারছেন না। অন্যদিকে গ্রামের গেরোস্তরা এসময় শ্রমিক নিচ্ছেন না। ফলে অনেক দরিদ্র মানুষকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। শীববস্ত্রের অভাবে খরকুটা জ্বালিয়ে অনেক পরিবারের সদস্যরা শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সব চেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা। তাই পুরোনো শীতের কাপড়ের দোকানে শীতবস্ত্র কেনার জন্য উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারী) রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৩ডিগ্রী সেলসিয়াস। তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন জানান, উপজেলার জন্য মাত্র ২ হাজার ৬০০ টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কম্বল উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের শীতার্থ মানুষদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও ইউএনও স্যার প্রায় প্রতিদিনেই বিতরণ করছেন।