তিস্তায় হঠাৎ বন্যায় ভোগান্তি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
এস বাবু রায় লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।। তিস্তার উজানে ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় তীব্র পানির ঢলে এবং টানা বৃষ্টিতে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে তিস্তার দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চলসহ তিস্তা চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। হঠাৎ বন্যায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দেখাদিয়েছে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন সংকট।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৮ সে.মি. নিচে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সে.মি উপরে রেকর্ড করা হয়। ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিস্তৃর্ন তিস্তা চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসলসহ বসবাসকারীদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষ। গরু -ছাগল নিয়ে ঠাই নিয়েছেন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। উৎকন্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে নাবভাসী মানুসের মাঝে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গণের আশংকা রয়েছে।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা প্রচারনা, সার্বিক দেখভাল করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (ঈডঈ) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টি পাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলা
নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা ফেরদৌস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ও আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার সব সময় তিস্তা চরাঞ্চলের পানি বৃদ্ধির সার্বিক খোজখবর নিচ্ছেন। তারা বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করেছি। গতকাল রাতে নদী এলাকা পরিদর্শন করে সার্বিক খোজখবর নেয়া হচ্ছে। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের পশুপাখিসহ প্রস্তুতি নিয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দিবে। আমরা সার্বিক খোজখবর রাখছি।