নেপালে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আটকে আছে বহু মানুষ

গত শুক্রবার রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় নেপালে। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাজারকোট অঞ্চলে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে উদ্ধারকাজ ঠিক মতো চালানো যাচ্ছে না বলে স্থানীয় মানুষের বক্তব্য। ২০১৫ সালের পর এত ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি নেপাল। এখনো পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে আছে বলে উদ্ধারকারীদের বক্তব্য। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এখনো লাশ উদ্ধারে কাজ চলছে নেপালে।

বস্তুত, এই অঞ্চলে প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। শুক্রবার রাতে ভূমিকম্পের পর বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। শনিবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও ধ্বংসস্তূপ সরানো সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকারীদের ধারণা, ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ এখনো আটকে আছেন। এখনো পর্যন্ত ঘটনায় ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু আহত মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুধু জাজারকোট হাসপাতালেই ৫০ জন ভর্তি আছে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, ওই দিন ভূমিকম্পের পর বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। অধিকাংশ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে ভয়ে কেউ বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না। যে কোনো সময় বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই দিন রাতে ভূমিকম্পের পর থেকে কার্যত মাঠেই থাকছেন স্থানীয় মানুষ। রোববার কয়েকটি শেল্টার ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। রোববার বেশ কিছু দেহ একত্রে দাহও করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ২০১৫ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এটাই নেপালের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। ২০১৫ সালের ঘটনায় নয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এবারের ভূমিকম্পে অন্তত ৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসেবে উঠে এসেছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,912FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles