৬দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই রংপুরে
শীত ও কুয়াশায় জবুথবু অবস্থায় মানুষ। অসহায় ও গরিব মানুষের শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টের সীমা নেই। জারত (ঠান্ডায়) হাত-পাও শিক লাগি যাইছে, কামও করিবার পাইছি না। এমন জার থাকলে গরিব মানুষ মরি যাইবে। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ষ্টেশন এলাকার ৬০ বছর বয়সী শ্রমজীবী হোসেন আলী।
এবার শীতের আগমন দেরিতে হলেও গত ৬ দিন ধরে উত্তর জনপদে সূর্যের দেখা মিলছে না। দিন-রাত অবিরাম কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। কুয়াশার সঙ্গে মাঝে মধ্যে বইছে শুষ্ক শীতল বাতাস। এমন অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষেরা রোজগারের জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারছে না। এর ওপর শীতজনিত বিভিন্ন রোগও জেঁকে বসেছে শিশু ও বয়স্কদের মাঝে।প্রচণ্ড ঠান্ডায় মাঠ-ঘাট হয়ে পড়েছে জনশূন্য। হাট-বাজারে দোকান খোলা থাকলেও মিলছে না তেমন ক্রেতার দেখা। ফলে বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মূলধন খরচ করেই সংসার চালাতে হচ্ছে।
সব মিলিয়ে প্রচণ্ড শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কৃষি শ্রমিকরা সকাল সকাল মাঠে নামতে না পারায় তাদের আয়ও কমেছে। ফলে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে শীতের প্রকোপে শিশু ও বয়স্ক মানুষের মাঝে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, অ্যাজমা, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগ বেড়েছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, জেলাজুড়ে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে আর হিম বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।