রংপুর বিভাগ

৪ দিন পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিন (৩৬) এর মরদেহ চার দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে নয়টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন ও ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্তে ওই যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিন সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়ার সুরুজ আলীর ছেলে।

এদিকে, ঘটনার চারদিন পর মরদেহ দেয় বিএসএফ। লাশ হস্তান্তর সময় বাংলাবান্ধা আইসিপি দিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার ও বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া থানার এস আই আব্দুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নিহতের বড় ভাই মো. মোস্তফা কামাল,ছোট ভাই মো. মনসুর আলী এবং স্থানীয় মেম্বার মো. শামসুদ্দিন এবং মো. শফিকুল ইসলাম লাশ গ্রহণ করেন। এর আগে গত শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নে ভেতরগড় এলাকায় মেইন পিলার ৭৪৪-এর ৭ নম্বর সাব পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে আল আমিনসহ কয়েকজন যুবক সীমান্তে গরু আনতে যায়। এসময় তারা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভাটপাড়া ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের গুলি করে। এসময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন। শনিবার (৮ মার্চ) সকালে প্রায় ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে আবালুপাড়া নামক স্থানে মরদেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা । পরে বিএসএফ তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিএসএফের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যোগাযোগ করে। মরদেহ শনাক্তসহ মরদেহ ফেরত পেতে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেয় বিজিবি। পরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েত কবির বলেন, রাত পৌনে নয়টার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি জিরোপয়েন্টে বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়া যুবক আল আমিনের মরদেহ এসআই আব্দুল মালেক গ্রহণ করেছেন। ভারতে মরদেহ ময়নাতদন্ত হওয়ায় আমাদের ময়নাতদন্ত প্রয়োজন না হওয়ায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।