৪০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি
রংপুর।। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল আর দেশে গত ২৪ ঘণ্টা থেকে একটানা ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকায় প্রবেশ করছে পানি। নদীপাড়ে দেখা দিয়েছে বন্যা। তিস্তার পানি ঘরবাড়িতে প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়ার নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢুষমারা চর, তালুক শাহবাজ, পূর্ব নিজপাড়ার অংশ , গোপীডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, চর প্রাননাথ, শোভাঘাট, শনশনিটারী, চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, আজমখাঁ গ্রামের ৫শতাধিক পরিবারের বাড়ীঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ্দৌলা বলেন, আমাদের এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃষ্টি ও ভারতেও প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। বিশেষ করে জেলার হাতীবান্ধা কালীগঞ্জ আদিতমারী লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর অঞ্চলের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পানিবন্দি পরিবারদের তালিকা করতে দেওয়া হয়েছে। তালিকা হয়ে গেলে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।