হারাগাছে আওয়ামী’লীগ নেতার বিরুদ্ধে ড্রেন ও রাস্তার কাজ বন্ধ করার অভিযোগ
হারাগাছ (রংপুর)প্রতিনিধিঃ রংপুর জেলার হারাগাছ থানার আওতাধীন ৫ নং ওয়ার্ড এর সারাই পূর্ব পোদ্দার পাড়ায় একটি ড্রেন ও রাস্তা নির্মান কাজ এবছরের প্রথম দিকে শুরু হয়। কাজের মাঝামাঝি অবস্থায় ঠিকাদার কে ভয়ভীতি দেখিয়ে ড্রেন ও রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা।
স্থানীয় ও সরোজমিনে গিয়ে জানাগেছে, ড্রেন টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশে পাশের আরো ৩/৪ গ্রামের পানি নিষ্কাশনে একমাত্র ভরসা এই ড্রেন। বর্তমানে ড্রেনটির কাজ বন্ধ হওয়ায় আরও বিপদে এলাকার মানুষ। উন্মুক্ত ড্রেনে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া আশে পাশের বাড়ি ঘর ও যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ভুক্তভোগী মোঃ ইয়াসির আরফাত ( স্টাফ রিপোর্টার , রংপুররের খবর )এর সাথে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ এই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হলে আমরা প্রচন্ড বিপদে পড়ে যাই। ড্রেনে চলমান কাজের সময় কোন তেমন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ছিল না, আর এখন কাজ বন্ধ থাকায় আমার তিন বছরের ছেলে একবার ড্রেনের ভেতর পড়ে যায়। সে সামান্য আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিক যদি তাকে উদ্ধার করানো হয় তাহলে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এই ড্রেনের পাশে যে বাড়িগুলো আছে, তারাও অনেক ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কারণ বর্তমানে বৃষ্টির সময় এই উন্মুক্ত ড্রেনে পানি ঢুকে বাড়ি ধ্বসের মতন ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময়। ড্রেন নির্মান কাজ শুরু হয়ে প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হলেও কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির বাধার মুখে কাজ টি বন্ধ হয়ে যায়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখন ভীতির মধ্যে দিন পার করছি।
২২শে মার্চ শুক্রবার এ নিয়ে ঠিকাদার ও প্রভাবশালী দুপক্ষের লোক জনের মধ্যে ব্যাপক বিরোধের সৃষ্টি হয় ও ড্রেন টির কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে ড্রেনটির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাউনিয়া থানা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু বক্কর।
এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু বক্করের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ ড্রেনটি এক পাশে একশো মিটার (আমিন মাষ্টার লিংক) ও পশ্চিম উত্তরপাশে (বক্কর লিংক) ১৫০ মিটার হওয়ার কথা কিন্তু বক্করের বাড়ি হতে যে ড্রেনটি হওয়ার কথা সেটি কোন বাড়ই কাজ হয়নি অথচ পূর্ব দক্ষিণে (আমিন মিষ্টার লিংক) এই নিয়ে দুবার কাজ হচ্ছে। আমরা এজন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রতিবাদস্বরূপ ঐ কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের পাশে কাজ করে দিলে বাকি কাজ করতে কোন বাধা দেবো না।
পূর্ব দিকের কাজ বন্ধ করে দিলে যদি জনগনের কোন ক্ষতি হয় এই দায়ভার কে নিবে? প্রশ্নের উত্তরে আওয়া’মী নেতা বক্কর জানান সেটা আমার দেখার বিষয় নয়।
এ ব্যাপারে, সরোজমিনে কর্মস্থলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সৌকত এন্টার প্রাইজ এর পক্ষে ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক লেবু’র সাথে সাথে কথা বললে তিনি আমাদেরকে জানান, প্রকৌশলী আমাকে যে কাজটি করতে বলেছেন আমি সে কাজটি করছি। এই কাজ অনুযায়ী আমাকে ইস্টিমেট দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী সর্বোচ্চ দেখতে পারে যে আমি সঠিক মালামাল দিয়ে কাজটি করছি কিনা। আমাকে যেভাবে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমি ঠিক সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। আর এক পাশের কাজ কেন হচ্ছে না তা আমি ঠিক বলতে পারছি না, এটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যাপার। বর্তমানে আমার কাজটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমিও ক্ষতির সম্মুখীন।
এ ব্যাপারে একই এলাকার নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক জন বলেন, যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন এবং মানুষের উন্নয়নের জন্য যত রকমের কাজ করা যায় তা করতে বদ্ধ পরিকর সেখানে এসব নেতা ও পাতি নেতার জন্য সরকারে ভাবমূতী নষ্ট হচ্ছে।এ বিষয়ে ঐ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ সাথে ফেনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয় টি দেখবে বলে জানান। রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত সরকারি ছুটি চলমান থাকায় কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মকর্তার কর্মস্থলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।