সামরিক সহযোগিতা জোরদার করছে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান
ডেস্ক রিপোর্ট :
অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাহিনীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক সহযোগিতা আরো জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দেশগুলো চীনের সামরিক শক্তি মোকাবিলায় তাদের সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেসের আয়োজনে রোববার অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি যোগ দিচ্ছেন।
নতুন চুক্তির অধীনে জাপানের অভিজাত সামুদ্রিক ইউনিট অ্যাম্ফিবিয়াস র্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট ব্রিগেডটি অস্ট্রেলিয়ান ও মার্কিন বাহিনীর সাথে নিয়মিত কাজ ও প্রশিক্ষণের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন উপকূলে মোতায়েন করা হবে।
মার্লেস বলেন,‘আমাদের তিনটি দেশের পরস্পরের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিটি সম্পর্কে এ অঞ্চল ও বিশ্বের কাছে চুক্তিটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি।’
তিনি আরো বলেন,‘এটি আমাদের তিনটি দেশের মধ্যে আন্তঃব্যবহারযোগ্যতা তৈরি করতে যাচ্ছে।’
অস্টিন বলেন, এ অংশীদারিত্ব তিনটি দেশের মধ্যে ‘গোয়েন্দা নজরদারি ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম’ বৃদ্ধি করবে, যা ‘একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধান বলেন, তার অফিস এ অঞ্চলে ‘জোটটি জোরদার’ করতে এবং ‘অভিন্ন মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের দৃষ্টিভঙ্গির দেশগুলোর সাথে’ কাজ করার জন্য যা করেছে- তার জন্য তিনি গর্বিত।
সিডনি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ক্যানবেরা ক্রমবর্ধমান চীনের শক্তিকে রোধ করার প্রয়াসে তার সামরিক শক্তি জোরদার করে দীর্ঘদিনের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি এসেছে।
তার নৌ-বহরের দ্রুত বিকাশের পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সাথে অকাস (এইউকেইউএস) নামে পরিচিত একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে গোপন পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে।
কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির স্টাইলে ফিরে এসে চুক্তিটি বাতিল করতে পারেন বা পুনরায় লেখার চেষ্টা করতে পারেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তারা এ মাসে বলেন, চুক্তিটি বহার থাকার ব্যাপারে তারা ‘প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী’।