শীতে কাঁপছে দিনাজপুর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
দিনিজপুর প্রতিনিধি : আবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। কনকনে ঠান্ডা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু এই অঞ্চলের মানুষ। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শুক্রবার দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগার বদলগাছিতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলে ক্রমেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ক্রমেই এই তাপমাত্রা কমবে বলে আভাস দিয়েছেন তারা।
এদিকে হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভুত হওয়ায় বিকাল থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ। তবে সকাল ১০টার পর সূর্যালোক বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে শীতার্ত মানুষেরা।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সর্বত্রই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। সেই সঙ্গে বইছে হিমবাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। এমন অবস্থার মধ্যেও জীবিকার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষ কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রয়োজন ছাড়া তারা কেউ বের হচ্ছেন না। আবার সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরছেন বাড়িতে। রাতে সাধ্য অনুযায়ী শীত নিবারণে ব্যবহার করছেন লেপ, কম্বল ও কাঁথা।
তারা আরও বলছেন, এমন আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে মানুষ জ্বর-সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
এ বিষয়ে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।