র্যাব এর অভিযানে হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ২ জন গ্রেফতার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ আমার অহংকার, এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১২/১১/২৪ ইং তারিখে ভিকটিমের পিতা মোঃ মবিদুল হক (৫৪), পিতা-মৃত ওছমান আলী, গ্রাম-মুশা (শফি মিয়ারপাড়া), থানা-কিশোরগঞ্জ, জেলা-নীলফামারী থানায় এসে জানান যে, তার ছেলে তথা ভিকটিম খালিদ বিন লিশাদ (১৮) গত ০৯/১১/২৪ তারিখ সন্ধ্যা থেকে নিঁখোজ । পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ১২/১১/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৭৩০ ঘটিকার সময় জানতে পারেন যে, কিশোরগঞ্জ থানাধীন মুশরুত পানিয়ালপুকুর মৌজাস্থ সাইফুন বাধ সংলগ্ন চারালকাটা নদীতে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় আছে। সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পিতাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন লাশটির পরনের শার্ট-প্যান্ট এবং বাম পায়ের জুতা দেখে তার ছেলে ভিকটিম খালিদ বিন লিশাদ বলে সনাক্ত করেন। এই নৃশংস হত্যা কান্ডটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
উক্ত হত্যা কান্ডের প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের দৃষ্টিগোচর হয় এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদ্বয় ১।মো: ওয়াহিদ (৪০)’ ও ২। মিনু বেগম(৩০) র্যাব-২ ও র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে বর্ণিত স্থান হতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত হত্যা কান্ডে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য আসামীদ্বয়কে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।