রোজার মাসে ভোক্তা সাধারণ যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবেঃ রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, রোজার মাসে ভোক্তা সাধারণ যাতে কারো ব্যক্তিস্বার্থ বা লোভ-লালসার কারণে কষ্ট না পায় সেদিকে ব্যবসায়ী, জনগণ ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
আগামীকাল (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। এবছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’।
সাহাবুদ্দিন বলেন, এবছর পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। আমি আশা করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে ভোক্তা ও সেবা গ্রহীতাদের অধিকার সমুন্নত রাখতে দেশবাসী সচেতন হবেন এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে ফলপ্রসূ অবদান রাখবেন।
“বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেশের ভোক্তা সাধারণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিলো একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা। স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ভোক্তা-অধিকার একটি সর্বজনীন ও ন্যায্য অধিকার। নিয়মমাফিক ও আইনানুযায়ী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদান মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে। এ লক্ষ্যে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও বিপণনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।
সাহাবুদ্দিন বলেন, সরকার ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য জনগণ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের জনসাধারণের অধিকার রক্ষায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবে।