রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাসিক কল্যাণ সভায় সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার এঁর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) উত্তম কুমার পাল পিপিএম; উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ আবু বকর সিদ্দীক; উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান; উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোঃ আবু মারুফ হোসেন; উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মেনহাজুল আলম; অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জ এবং অন্যান্য পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
কল্যাণ সভার শুরুতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (পরশুরাম জোন) মোঃ আল ইমরান হোসেন গত কল্যাণ সভার কার্যবিবরণী তুলে ধরেন এবং গত সভার প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। অতঃপর তিনি উপস্থিত সকল পদবীর পুলিশ সদস্যদের নিকট হতে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সমস্যার কথা আহ্বান করেন এবং সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মহোদয় তৎক্ষণাৎ কিছু বিষয়ে সমাধান দেন ও কিছু বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে পুলিশ কমিশনার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতার বিষয় উল্লেখ করে বলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল ইউনিটকে সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, এজন্য তিনি ইনচার্জদের নিয়মিত মনিটরিং করা এবং ফোর্সের শারীরিক সুস্থতা ও মনবল বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন পিটি-প্যারেড করানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি জানান পুলিশ অফিসার্স মেস, অফিস, পুলিশ লাইন্সে প্যারেড গ্রাউন্ড ও রাস্তা ইত্যাদি ইতোমধ্যে সংস্কার এবং তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান ইতোমধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সসহ মোট ২টি পুলিশ লাইন্সের সংস্কার কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে যা দিয়ে পুলিশ লাইন্সের আরো সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে এবং রংপুর মেট্রোপলিটন এরিয়া এবং জনবল বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা চলছে। হারাগাছ থানা, পরশুরাম থানা ও মাহিগঞ্জ থানার বিল্ডিং এর কাজ করার জন্যও আগামীতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে। তিনি স্মার্ট পুলিশিং এর পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করে। সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মহোদয় বলেন নগরীতে মাদক পরিস্থিতি একটা সহনশীল পর্যায়ে এসেছে, এখন ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য তিনি প্রত্যেক থানার অফিসার্স ইনচার্জদেরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে তিনি মাহে রমজান এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে নিজ দায়িত্বের প্রতি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কল্যাণ সভার শেষে সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মহোদয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, ট্রাফিক বিভাগ এবং ক্রাইম বিভাগের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ভালো কাজের সনদ ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।