রংপুর নগরীতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশঃ রহস্য উদ্ঘাটন
রংপুর প্রতিনিধিঃরোববার রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: মনিরুজ্জামান তাদের এই সফলতার কাহিনী সাংবাদিকদের ডেকে বর্ননা করেন।তিনি বলেন গত ১২ জানুয়ারি পরশুরাম থানার পরশুরাম মৌজাস্থ চিলারঝাড় থেকে শেখটারীগামী পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশে কয়ার দোলার মোঃ আক্তারুজ্জামানের চাষকৃত কৃষি জমিতে একজন অজ্ঞাতনামা বক্তির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ।
এরপর মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যেএকদল চৌকস পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এবং মাত্র ৪৮ঘন্টার মধ্যে পরশুরাম থানাধীন কোবারু ডাক্তারপাড়া গ্রামের মোঃ সম্রাট ওরফে গোলজার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষেভাবে জড়িত হত্যাকারী আসামী মোঃ বকুল মিয়া এবং আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের তথ্য মোতাবেক ঘটনার ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা দেশীয় তৈরী লোহার দা এবং গংগাচড়া থানাধীন সলেয়াশাহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের ব্যাটারী চালিত রিক্সা (চারটি বাটারীসহ) তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী মোঃ ইউসুফ আলীকে ভাংড়ির দোকান থেকে উদ্ধারপূর্বক তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ কমিশনার আরো বলেন আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এক সপ্তাহ পূর্বে ধৃত আসামীগণ মমলার মৃত ভিকটিম আলেফ উদ্দিনকে হত্যা করে ব্যাটারী চালিত রিক্সা নেয়ার জন্য পরিকল্পনা করে প্রথমে রংপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন লাহিরীর হাটে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে মৃত ভিকটিম আলেফ উদ্দিনকে হত্যার করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর মৃত ভিকটিম আলেফ উদ্দিনকে আবারো হত্যা করে তার রিক্সা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ১১জানুয়ারি সন্ধ্যায় কোতয়ালী থানাধীন নতুন বেতারের পাশে মৃত ভিকটিম আলেফ উদ্দিনকে চায়ের সাথে ঘুমের ঔধষ খাইয়ে রাত অনুমান সাড়ে ১০টায় পরশুরাম উল্লেখিত স্থানে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা নিশ্চিত করে রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায় ।