রংপুর বিভাগ

রংপুর অঞ্চলে শীত-কুয়াশায় হুমকির মুখে বোরো বীজতলা : উদ্বিগ্ন কৃষক

রংপুর প্রতিনিধিঃ

রংপুর মহানগরীসহ এ অঞ্চলে কয়েক দিন থেকে অব্যাহতভাবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বোরো বীজতলা। এতে বীজতলা নষ্ট হলে বোরোর চারার সংকট দেখা দিবে। ফলে বোরো আবাদ কমে যেতে পারে। এনিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা।

সরেজমিনে রংপুর নগরীর তামপাট, হাজিরহাট, সদরের পালিচড়া, শ্যামপুর ও মিঠাপুকুরের লতিবপুর, জায়গীরহাট সহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার অধিকাংশ চারাই লালচে হলুদ হয়ে গেছে। লালচে হওয়ার পর আস্তে আস্তে পাতার আগা শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বীজতলা রক্ষায় কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে রাতে পানি রাখছে বীজতলায় এবং সকাল হলে তা সরিয়ে ফেলছে।

মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর এলাকার কৃষক সাহেবুল মজনু ও রংপুর নগরীর জগদিশপুরের সাইফুল ইসলাম বলেন, যে হারে শীত ও কুয়াশা পড়ছে তাতে বেরোর বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে চারার সংকট দেখা দিবে। ফলে চাষাবাদ কম হবে। উৎপাদনে ঘাটতি হবে বলে তারা ধারণা করছেন।

পীরগাছা উপজেলার শহিদুল ইসলাম ও হারাগাছের আব্দুল মমিন কাজল বলেন,  ঘন কুয়াশার কারণে তাদের বীজতলা  লালচে হয়ে যাচ্ছে। এরকম আবহাওয়া থাকলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৮ লাখ ৭ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বীজ উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ১৭৬ হেক্টর জমিতে।

এবিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন,এখনও বীজতলা নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা তৈরী হয়নি। তবে এরকম আবহাওয়া আর কিছু দিন থাকলে বীজতলা নষ্ট হতে পারে। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।