ভূমি সংক্রান্ত ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ক ০২ দিনের প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ
রংপুর প্রতিনিধি ।। দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আদিবাসী তরুণদের দ্বারা পরিচালতি স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশন আদিবাসীদের ভূমি সংক্রান্ত ও ধর্মীয় সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য গত ০৫-০৬ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখে ০২ দিনের প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় মিঠাপুকুর বেণুবন বৌদ্ধ বিহার কনফারেন্স হল রুম,মিঠাপুকুর, রংপুর।
আদিবাসী জনসাধারণেরা নানা ধরনের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন,নিপীড়ন ও সংঘাতের সম্মুখীন হয়ে আসতেছে। যত দিন যাচ্ছে ততোই দিনের পর দিন এর সংখ্যাটাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সংঘাতগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে গত ০২ দিনে ২৭ জন আদিবাসী তরুণদের কে শিক্ষাণীয় ও সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়।
দিনের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার, মিঠাপুকুর বেণুবন বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ও স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, ভদন্ত শুভমিত্র ভিক্ষু শুভ উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, আমাদের আদিবাসী জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই! তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায় ধর্মীয় বিষয়কে কেন্দ্র করে সমস্যার সৃষ্টি করছে, তাই সবাই কে সচেতন থাকতে হবে যাতে করে কখনো কোনো সময় গুজব,মিথ্যা ও ভূল তথ্য বিশ্বাস করা যাবে না এর সাথে প্রচার করা যাবে না, যদি সবাই আমরা সচেতন হই তবে এইরকম ঘটনার সংখ্যা কে কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
ভূমি বিষয়ক তথ্যগুলো প্রদান করেন, এড.এম এম আলম লাবলু, জর্জ কোর্ট,রংপুর। তিনি ০২ দিনের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন, তিনি অংশগ্রহণকারীদের কে অবগত করেন, আদিবাসীরা মানুষেরা আগের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে গেছে। কেননা এক সময় দেখা যেতো আদিবাসীদের জমি-জমা অল্প টাকা বা বিনা টাকায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের নাম করে নিয়েছ! এমন ঘটনার সাক্ষী অসংখ্য রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আদিবাসী তরুণ সমাজ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার কারণে এমন ঘটনা কমে গেছে এবং সেই সাথে পূর্বে যাদের জমি-জমা মিথ্যা আশ্বাস ও জোরপূর্বক করে হাতিয়ে নিয়েছে সেইজমিগুলো ফেরত পাওয়ার জন্য কার্যক্রম চললামন আছে। আজকের অংশগ্রহণকারীরা যদি সচেতন হতে পারে, কোন জমি কিভাবে ক্রয়-বিক্রয় করতে হয়,দললি করতে হয়, খাজনা খারিজ করতে হয় তাহলে গ্রামে গিয়ে প্রচারের মাধজনসচেতনতার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কারো সাথে বৈষম্য না করে কাজ করতে হবে তবেই সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে এবং সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে।
ব্লাস্ট এনজিও এর শাহীন মিয়া ধর্মীয় ভাবে কোনো ধর্মকে যেন বৈষম্য করা না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইরফান ও শরীফা আপা, এছাড়াও স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি পলাশ টপ্য, সাধারণ সম্পাদক, টিউলিপ এক্কা, দপ্তর সম্পাদক, রুমন টপ্য ও কোষাধ্যক্ষ রনজিত খালকো প্রমুখ।