শিক্ষা

বেরোবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেছেন, ১০ জানুয়ারি বাঙালি জীবনের একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন দেশের মাটিতে ফিরে আসেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি, ২০২৪) সকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে আসাটা বাঙালি জাতির জন্য অনেক বড় গর্ব ও আশীর্বাদ। বিশ্বের ইতিহাসে এমন ঘটনা খুবই বিরল।

বেরোবিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৪ পালন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা অর্জন হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের স্বাধীনতাকে আরো সংহত করে। বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার মাধ্যমে বাঙালি জাতি পায় সামনে অগ্রসর হওয়ার প্রেরণা।

আলোচনা সভায় বেরোবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৪ পালন কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ শরিফুল ইসলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. বিজন মোহন চাকী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক খাইরুল ইসলাম ও বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন ও বেরোবি ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।