খেলার খবর

বাংলাদেশের হার ১৪৯ রানে

৩৮২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একের পর এক উইকেটের পতন হতে থাকে বাংলাদেশের।

রিয়াদ যখন ক্রিজে আসেন তখন দলের রান ৪২; উইকেট নেই ৪টি। তার ক্রিজে আসার কিছুক্ষণ পর লিটন দাসও আউট হয়ে গেলে যেন ‘একাকি সৈনিক’ হয়ে পড়েন রিয়াদ। তবেও তিনি টলে যাননি।

এক প্রান্ত আগলে রেখে প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে গেছেন তিনি। প্রোটিয়া বোলারদের একের পর এক চার ছয় মেরে ১০৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন রিয়াদ।

শেষ পর্যন্ত আউট হন ১১১ বলে ১১১ রান করে। ৪৬ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশও থেমেছে ২৩৩ রানে।

বাংলাদেশের হার ১৪৯ রানে। ৮১ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থায় বাংলাদেশের আড়াইশ রানের বেশি ব্যবধানে হার উঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সেটি হতে দিলেন না।

দারুণ সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান নামিয়ে আনলেন দেড়শর নিচে।

দলের বিপর্যয়ে বুক চিতিয়ে লড়লেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের হারের ব্যবধান কমানোর পাশাপাশি করলেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। শর্ট বলে ফাইন লেগে খেলে সিঙ্গেলে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন সেঞ্চুরি! উদ্‌যাপনে লাফ দিয়েছেন, এরপর আঙুল দিয়ে ইশারা করেছেন ওপরের দিকে। এরপর দিয়েছেন সেজদা।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন তিনি।

২০১৫ সালে টানা দুই ম্যাচে ১০০ পেরিয়েছিলেন। মাহমুদউল্লাহর পরের সেঞ্চুরিটি ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ২০১৭ সাল কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই সেঞ্চুরিই ছিল মাহমুদউল্লাহর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বশেষ।