রংপুর বিভাগ

পীরগাছায় স্কুলের বেঞ্চ চুরি : ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি:রংপুরের পীরগাছার দুধিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ জোড়া বেঞ্চ চুরির ঘটনার ৫ দিন পরও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি। এমনকি চুরির এই ঘটনাটি খোদ উপজেলা শিক্ষা অফিসারও নাকি জানেন না। প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে দুধিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টোর রুমের তালা ভেঙ্গে ১৮টি বেঞ্চ চুরি হয়। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ওই বিদ্যালয়ের আয়া ও প্রহরী স্টোররুমের দরজার কবজা কাটা এবং এক স্থানে বেঞ্চের চারটি তকতা (কাঠ) দেখতে পান। পরে ভিতরে গিয়ে দেখেন ষ্টোরে রক্ষিতসহ তৃতীয় শ্রেনীর ক্লাশের ৯ জোড়া বেঞ্চ নাই। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে খোঁজাখুুঁজির এক পর্যায়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা পাশ্ববর্তী দুদু মিয়া নামের এক ব্যক্তির বাসার সামনে একটি ভ্যানে স্কুল বেঞ্চের লোহার কাঠামো লোড করতে দেখে শিক্ষকদের এসে বলেন। পরে শিক্ষকরা সেখানে গিয়ে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বেঞ্চের লোহার কাঠামোগুলো উদ্ধার করেন।

ওই ঘটনার সাথে অনন্তরাম কসাইটারী গ্রামের মৃত মোক্তার আলীর ছেলে নুরুজ্জামান ও রফিকুল ইসলামের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী শামীম মিয়া জড়িত বলে পুলিশ জানতে পারে। তারা চুরিকৃত মালামাল বিক্রির সময় অনেকেই দেখেছেন। পরে পুলিশ ও শিক্ষকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

তবে এই ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি।

এবিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম বলেন, চুরি যাওয়া বেঞ্চের লোহার কাঠামোগুলো থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয়েছে। যে বাসার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সে বাসার মালিক বাসায় থাকেননা। বাসাটি তালাবদ্ধ থাকে। ভ্রাম্যমান ভাংড়ী মালামাল ক্রেতা ওই ভ্যানওয়ালাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই ভ্যানওয়ালা নুরুজ্জামান ও শামীমের নাম বলেছেন। চুরির বিষয়টি এই ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। চুরির ঘটনায় কোন মামলা করা হয়েছে কি’না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ শুধু ভ্যানওয়ালার বিবৃতির কপি নিয়েছে। তারা বিষয় টা দেখার কথা।

 জানতে চাইলে পীরগাছা থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহনেওয়াজ বলেন, খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় কয়েকজনসহ সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের উপস্থিতিতে শিক্ষকরা ওই মালামাল উদ্ধার করে। তবে এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। খোঁজ নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, আমি ওই সময় ছুটিতে ছিলাম। খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।