নির্বাচনী ক্যাম্প, প্রচার মাইক ও গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরুতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মারামারি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। গত দুই দিনে রাজশাহীতে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ও মাইক ভাঙচুর এবং গাজীপুরের শ্রীপুরে অপর এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কুষ্টিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের গাড়ি ভাঙচুরের দায়ে নৌকার কর্মী এক ইউপি সদস্যকে এক দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী ক্যাম্প নিয়ে সংঘাত
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে গতকাল বুধবার স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর কর্মিসভা চলছিল। এ সময় ওই প্রার্থীর এক সমর্থকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থককে এক দিনের কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম শরিফুল ইসলাম। তিনি নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। শরিফুল নৌকার প্রার্থী ও এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক।
গতকাল সন্ধ্যায় কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এই গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাত আটটার দিকে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামকে এক দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
রাজশাহীর বাঘাতেও নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাহেনুল হকের নির্বাচনী ক্যাম্প ও প্রচার মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রাহেনুল হকের নির্বাচনী এজেন্ট ও বাঘার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম গতকাল চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ওরফে শুভ, মো. সোহাগ, মো. টিটুল, মো. বিপুল ও মো. সবুজের নাম উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বিকেলে নৌকার প্রার্থী শাহরিয়ার আলমের সমর্থকেরা চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বামনদিঘায় নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেন। পরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালেকার মোড়ে মসজিদ-সংলগ্ন রাস্তায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁদের প্রচার মাইক ও মাইক বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।