নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে গাইবান্ধায় বিজয় মেলা
জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে গাইবান্ধায় সার্কিট হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহরের স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে ও কারুপণ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে শিল্প হিসেবে পরিচয় করে দিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও বিসিক শিল্পনগরী এই মেলার আয়োজন করেছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ফিতা কেটে, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন ও স্টল প্রদর্শন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরি মোয়াজ্জম আহমদ ও পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন।
এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা রবীন রায়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এক দিনব্যাপী এই বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই প্রথম স্টল ফি ছাড়া ঘর বরাদ্দ নিতে পেরে ও মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় খুশি হয়েছে উদ্যোক্তারা।
বিজয় মেলাকে তারা বিজয় হিসেবে দেখছেন। মেলার মাধ্যমে অনলাইনে যেসব উদ্যোক্তা কাজ করছেন তাদের অফলাইনে তাদের প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের পরিচিতি বাড়ছে। মেলায় কল্পতরু বুটিক হাউস, ফাতিহা হ্যান্ডিক্রাফট, রিফাত সিবা কালেকশন, মৌ কেক অ্যান্ড ক্রফট, কবিতা বুটিক হাউস, বেলাল সরিষার তেল, সন্ধানী ডোনার ক্লাবসহ ৪৬টি স্টল স্থান পেয়েছে।
সন্ধানী ডোনার ক্লাবে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, আইসক্রিম, বিভিন্ন রকম চপ, গাছের চারা, এছাড়াও কল্পতরু বুটিক হাউজে পাওয়া যাচ্ছে হাতের তৈরি পণ্য যেমন- থ্রি-পিস, চাদর, অনপিস, ব্লকের জামা, ডালের বড়ি, বিভিন্ন প্রকার আঁচার, দিনাজপুরের অরিজিনাল মুগের ডালসহ উল্লিখিত উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানে হাতের তৈরি ব্লকের জামা, শাল, থ্রি-পিস, হ্যান্ডিক্যাপসহ বিভিন্ন রকম পণ্য৷ মেলায় ক্রেতারা তাদের পছন্দের জিনিস ক্রয় করতে এক দোকান থেকে আরেক দোকান ঘুরে তাদের পছন্দের পোশাক ক্রয় করছেন।
মেলায় অংশগ্রহণকারী কল্পতরু বুটিক হাউসের পরিচালক উদ্যোক্তা রনি চাকী বলেন, আমি বিজয় মেলাকে বিজয় হিসেবে দেখছি। এখানে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন স্টল ফি ছাড়া সরকারিভাবে সুযোগ দিচ্ছে। এতে আমরা খুবই খুশি৷ এবং আমাদের উৎসাহ আরও বাড়ছে। মেলাটি একদিন না হয়ে আরও কয়েকদিন হলে ভালো হতো আমাদের উদ্যোক্তাদের।