দুর্নীতি সমাজে বৈষম্য সৃষ্টির মূল কারণ: বিভাগীয় কমিশনার
ডেস্ক রিপোর্ট : রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটি বৈষম্য সৃষ্টির প্রধান কারণ। তিনি বলেন, বৈষম্য দূর করতে হলে আমাদের মানসিকতা এবং আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস’ উপলক্ষে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, “দুর্নীতিবাজ মানুষ সমাজের নৈতিকতা ও রীতি-নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কলুষিত করে। মানুষ পরিবার থেকে প্রথমে রীতি-নীতির শিক্ষা পায়, আর যদি পরিবারে দুর্নীতি থাকে, তবে তা সন্তানের মধ্যে চলে আসে।” তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজে অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং সমতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এছাড়া, জুলাই বিপ্লবে নতুন প্রজন্মের সাহসিকতার দৃষ্টান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নতুন প্রজন্মের সাহসিকতা আমাদের দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন ভবিষ্যত গড়ার আশা জাগায়।” তিনি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ এই প্রতিপাদ্যে রংপুরে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস’ উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রংপুর জেলাপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. তালেবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাওন মিয়া এবং সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ড. শাশ্বত ভট্টাচার্য।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, দিবসটির উপলক্ষে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।