দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা হ্রাসে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা
কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে তৈরি হওয়া উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রুবিও দুই দেশকে সরাসরি যোগাযোগ পুনরায় চালুর আহ্বান জানান এবং পেহেলগামের হামলার সুষ্ঠু তদন্তে পাকিস্তানের সহযোগিতা কামনা করেন। একইসঙ্গে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ওই ঘটনার নিন্দা জানানোর অনুরোধ করেন।
ভারতের সঙ্গে আলাপেও মার্কো রুবিও পেহেলগাম হামলায় শোক প্রকাশ করেন এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দুই প্রতিবেশী দেশকে আলোচনায় ফিরতে হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পরে এক বিবৃতিতে জানান, তিনি মার্কো রুবিওকে দেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। একইসঙ্গে ভারত থেকে আসা উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান। শরিফ আরও বলেন, ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু নদীর পানি প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে, যা ২৪ কোটি পাকিস্তানির জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
পাকিস্তান সরকার জানায়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশটির বড় অবদান রয়েছে— যেখানে ৯০ হাজারের বেশি প্রাণহানি ও ১৫২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতির কথা তুলে ধরা হয়। শেহবাজ বলেন, আফগান সীমান্ত থেকে সক্রিয় বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলমান লড়াইকে ভারতীয় উসকানি থেকে আলাদা রাখা উচিত।
অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, পেহেলগাম হামলায় যারা জড়িত, তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং যারা এসব ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।