তিন দিনেও গ্রেফতার হয়নি খুনি, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
এস বাবু রায়, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।হত্যাকান্ডের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পুলিশ হাতীবান্ধার ভ্যানচালক মানিকুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ভ্যান চুরির ঘটনায় মানিকুলের সাথে সিরাজুল ইসলাম ও রশিদুল ইসলাম নামে আরো দুই জন ভ্যান চালক জড়িত তাদেরকেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সন্দেহের বেড়াজালে নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে তার প্রতিবেশীরা।
রোববার সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহা সড়কে মানববন্ধন শেষে এ সড়ক অবরোধ করেন তারা। মানিকুলের পরিবারের দাবী সিরাজুল ও রশিদুলকে গ্রেফতার করতে পারলেই এ হত্যাকান্ডের রহস্য বের হবে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানান, গত ১৩ জানুয়ারী হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বাবুল নামে এক ব্যক্তির একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনায় সন্দেহ করা হয় সিঙ্গিমারী গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের পুত্র মানিকুল ইসলামকে। ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ মানিকুল। ১৯ জানুয়ারী ওই উপজেলার রমনীগঞ্জ এলাকা থেকে মানিকুলের মাথা বিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এক দিন পর দালালপাড়া এলাকা থেকে মাথা, মোবাইল ও ছুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর পরেই বাড়ি ছাড়া হয় সিরাজুল ও রশিদুলও। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় শুক্রবার মানিকুলের মা বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও ৩ দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের গেটে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধে অংশ নিয়ে হত্যাকান্ডের শিকার মানিকুলের স্ত্রী শাকিলা বলেন, আজ ৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেলে এখনো এ হত্যাকান্ডের সাথে কারা জড়িত তা পুলিশ বের করতে পারেনি। আমি আমার স্বামীর হত্যকান্ডের বিচার চায় এবং কেন এখনো হত্যাকারীরা গ্রেফতার হলো না তা জানতে চাই।
স্কুল শিক্ষক আজিজুল বারী বলেন, চুরি হওয়া ভ্যান উদ্ধার হলো। ওই চুরির সাথে কারা কারা জড়িত তা প্রমাণিত। তাহলে এ হত্যাকান্ডের সাথে কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু পরিস্কার। তারপরও পুলিশ তাদের কি কারণে গ্রেফতার করতে পারছে না। পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের সান্ত¦না দিতে সন্দেহের বেড়াজালে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করতে গ্রেফতার করা হতে পারে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশাকরি দ্রæত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীরা গ্রেফতার হবে।