ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলশিক্ষকের আত্মহত্যা!
ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে ঋণের চাপ সইতে না পেতে ঐ স্কুলশিক্ষক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কেশুরবাড়ী তাঁতিপাড়া এলাকা থেকে রবীন্দ্র দেবনাথ (৫৫) নামে ওই শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রবীন্দ্র দেবনাথ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চরণখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ওসি দুলাল হোসেন বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আমরা খবর পাই বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলশিক্ষক রবীন্দ্র দেবনাথ আত্মহত্যা করেছেন। খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত অবস্থায় রবীন্দ্র দেবনাথকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্কুলশিক্ষক রবীন্দ্র দেবনাথকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্কুলশিক্ষক রবীন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই কৃষ্ণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বুধবার বিকেলে দাদা (ভাই) স্থানীয় একটি বাজারে যান। পরে রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি বাঁশঝাড়ে দাদাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা আমাদেরকে ও পুলিশে খবর দেয়।
কৃষ্ণ চন্দ্র দেবনাথ আরও বলেন, আমার দাদা (ভাই) বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণগ্রহণ করেছিলেন। সেগুলো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পরেছিল; সে কারণে হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়ে আমাদের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
ওসি দুলাল হোসেন বলেন, শিক্ষক রবীন্দ্র দেবনাথের পরিবার থেকে জানানো হয় তিনি ঋণগ্রস্থ ছিলেন। এ নিয়ে রবীন্দ্র মানসিকভাবে ভেঙে পরেছিলেন। সবশেষ ঋণের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন স্কুলশিক্ষক রবীন্দ্র দেবনাথ। অভিযোগ না থাকায় ঐ স্কুলশিক্ষকের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।