রকমারী

টিস্যু না রুমাল, কোনটা ব্যবহার স্বাস্থ্যকর?

প্রথম শতাব্দীতে, রোমানরা ঘাম মুছতে বা মুখ ও মুখ ঢেকে রাখতে সুডারিয়াম (ঘাম মুছতে ব্যবহৃত কাপড়ের ল্যাটিন নাম) ব্যবহার করত, সেখান থেকেই রুমাল এসেছে। তবে সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে রুমাল ব্যবহারের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে।

এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে টিস্যু। টিস্যু এবং রুমাল দুটিই ছোট জিনিসি, কিন্তু নিত্য ব্যবহারের পণ্য। বেশিরভাগ হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট এবং অফিসে টিস্যু ব্যবহৃত হয়। আজকাল মানুষ ঘরেও টিস্যু ব্যবহার করতে শুরু করেছে। রুমাল পকেটে বা হ্যান্ডব্যাগে সহজেই ফিট হয় যাতে যে কোনও সময় এটি সহজেই ব্যবহার করা যায়

দ্বিতীয় শতাব্দীতে চীনে কাগজের টিস্যু তৈরি করা হয়েছিল ব। এখন যে টিস্যু ব্যবহার করা হয় তা তৈরি করা হয়েছিল ১০০ বছরেরও বেশি আগে। তবে রুমালে হাজার-হাজার জীবাণু থেকে যায় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণা বলছে, পুনঃব্যবহারযোগ্য সুতির রুমাল দিয়ে নাক মুছলে বা অন্য কোনও বস্তু স্পর্শ করলে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। এমনকি যদি রুমালটা ধুয়েও ফেলা হয় তাতেও তেমন কাজ হয় না। এমনকি ওয়াশিং মেশিনে রুমাল কাচলে ওয়াশিং মেশিনও সংক্রামিত হয়।

টিস্য়ুর উপকারিতা: বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ব্যাকটেরিয়া টিস্যুতে বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। আর বেশিরভাগ সময়ই টিস্যু ব্যবহার করার পর ফেলে দেওয়া হয়। অনেক গবেষণায় এটা দেখা গেছে, রুমাল শ্বাসযন্ত্রের অ্যারোসল ফিল্টার করে না, অর্থাৎ দূষণকারী এবং জীবাণু সহজেই রুমালের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

টিস্যু একটি ভালো বিকল্প: আমেরিকান কোম্পানি,‘ইকোসিস্টেম অ্যানালিটিক্স’পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সুতির রুমালকে কাগজের টিস্যুর সঙ্গে তুলনা করেছে।