টানা বৃষ্টিতে রংপুরে বন্যা আশঙ্কা
রংপুর প্রতিনিধি ।। টানা বৃষ্টিতে রংপুর নগরীর তাজহাট, বাবুপাড়া, কামারপাড়া, আদর্শপাড়া, নগর মীরগঞ্জ, শালবন, মিস্ত্রিপাড়া, কলাবাড়ি দর্শনা, কামাল কাছনা, মাহিগঞ্জ, বোতলা, নিউ জুম্মাপাড়া, পূর্ব জুম্মাপাড়া, মর্ডান মোড় সংলগ্ন বিভিন্ন মহল্লা, মুন্সিপাড়া, হনুমানতলা, মুলাটোল, মেডিকেল পাকার মাথা ও জলকর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ঘর থেকে বের হতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন।
বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নগরীর প্রধান সড়কে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। কাজ করতে না পেরে বিপাকে শ্রমজীবী মানুষজন। সেই সাথে আশ্বিনের এই ভারী বৃষ্টিতে ধানের উপকার হলেও সবজি খেতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে সর্বমোট ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ ২৫৯.৪ মিলিমিটার। সবমিলিয়ে এটি এ মৌসুমে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক অরজিৎ কুমার রায়।
এদিকে গতকাল শনিবার থেকে টানা বর্ষণের কারণে রংপুর নগরীর অনেক এলাকায় বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করছে। অনেকের খাট পর্যন্ত পানি উঠেছে। আবার অনেকের ঘরের আসবাবপত্র ভিজে গেছে ইতোমধ্যে। অনেকেই আবার উচু স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে আসবাবপত্র।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টির কারণে নগরীতে অটো রিক্সার সংখ্যা অনেক কম। ফলে অটো রিক্সা চালকরা ভাড়া চাচ্ছেন ইচ্ছামতো। বাড়তি অর্থ গুণতে গিয়ে অনেকেই জড়িয়ে পড়ছেন বাক-বিতণ্ডায়। বাড়তি ভাড়া দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। এমন অভিযোগ করলেন আরো কয়েকজন। তাদের দাবি, এখন তো বৃষ্টিতে রিক্সাচালক, অটো চালকদের ভিজতে হয় না। কেননা উপরে পলিথিন দেয়ার কারণে ভিজতে হয় না। তারপরও অটো রিক্সাচালকরা সুযোগ পেলেই বাড়তি ভাড়া নেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু সায়েম জানান, এখন ধানের মৌসুম। এই বৃষ্টি ধান খেতের জন্য উপকারী। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সবজি খেতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে পানি জমে থাকলে অবশ্যই ক্ষতির মুখে পরবে সবজি চাষিরা, শীতকালীন বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গাছের গোড়াতে পানি জমে থাকলে ফলন এর সমস্যা দেখা দেবে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, পূর্বের আবহাওয়া অনুযায়ী শনিবার থেকে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এ বৃষ্টিপাত আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।