জাতীয় পার্টির রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনী মাঠে আছি রংপুরে জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এর কবর জিয়ারত করে নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুর ৩ আসনে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। শনিবার সকালে রংপুর পল্লী নিবাসে সাবেক রাষ্ট্রপতি বড়ভাই এইচ এম এরশাদের কবর জিয়ারতের পর তার বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করে মোনাজাত করেন জিএম কাদের।এ সময় কিছুক্ষণ নিরবে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।পরে দুপুরে নগরীর সেন্ট্রাল রোডে দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সভায় যোগ দেন তিনি। এ সময় জিএম কাদের বলেন এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জাতীয় পার্টির আস্থা আছে। আস্থা না থাকলে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহন করতাম না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন,বিভিন্ন চাপ থাকা স্বত্বেও জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে যায়নি। রংপুর আমার বাড়ী।সেখানে রয়েছে আমার মা বাবার কবর রয়েছে বড় ভাই জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদের কবর। আমাকে নাড়ীর টানে রংপুরে আসতেই হবে।রংপুরে আসলে আমি নিরাপত্তা বোধ মনে করি। তাই রংপুর থেকে ফিরে তাকানোর আমার কোনো অবকাশ নেই। আমি এবং আমার পরিবার রংপুর বাসীর ঋণ কোনোদিনোও পরিশোধ করতে পারবো না। এমনকি আমার পিটের চামড়া গেলেও রংপুর বাসীর ঋণ শোধ করার মতো না।
তিনি আবেগ জড়িত কন্ঠে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদের কথা বলতেই কিছুটা সময় চুপ হয়ে যান এবং রংপুর বাসীকে আবারো মনে করিয়ে দেন এরশাদের প্রতি যে জুলুম হয়েছিলো তা একমাত্র প্রতিবাদ করেছিলো রংপুরবাসী আর কেউ না। এইচ এম এরশাদ জেলে থেকে নির্বাচনে জিতেছে। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় তিনি যেতে পারেননি তবুও রংপুরবাসী তাকে একটি না পাচ পাচটি আসনে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমরা মহাজোটে নেই। আমরা কোনো আসনে প্রার্থী প্রত্যাহার করেনি।আওয়ামীলগেই তাঁদের প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে।
তবে তিনি নিজ দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতীয় পার্টিকে খন্ড করার চেষ্টা হয়েছিলো বলেই এর আগে আমি নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেনি।আপনারা সবাই এরশাদের লাঙল নিয়ে কাজ করুন মানুষের কাছে জাতীয় পার্টির কথা তুলে ধরুন।ইনশাল্লা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিজয় লাভ করবে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও দলের কোচ চেয়ারম্যান মুস্তাফিজার রহমান মোস্তফা,ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।