গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
গাজীপুরে সিলিন্ডার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ চিকিৎসাধীন আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়াঁলো ১০ জন। নিহত জহিরুল ইসলামের (৩২) শরীরের ৫৮ শতাংশ, মোতালেবের ( ৪৮) ৯৫ শতাংশ, মো. সোলায়মানের (৬) ৮০ শতাংশ ও রাব্বির (১৩) ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
রোববার (১৭ মার্চ) রাত ১২ টা থেকে সোমবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোতালেব, জহিরুল ইসলাম, সোলায়মান, ও রাব্বি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ৪ জন নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ১০জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ২২ জন তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রোববার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও মইদুল (৩০) নামে দুজন মারা যান। সন্ধ্যার দিকে মারা যান মাইদুলের স্ত্রী নার্গিস বেগম( ২৫)। এদের মধ্যে আরিফুল গার্মেন্টস কর্মী ও মইদুল কারখানায় কাজ করতেন।
গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তায়েবা (৩) নামে দগ্ধ এক শিশু ও ভোরে মনসুর (৩২) নামে দুজনের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজে আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে তিনি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। বাড়িতে ওই সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি বাইরে গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন। এ সময় আশপাশে থাকা নারী, শিশু ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।
পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনকে ভর্তি করা হয়।