গঙ্গাচড়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণের বরাদ্দকৃত ভাতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ
গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি:রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টরসহ রিসোর্স এর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণে বরাদ্দকৃত অর্থ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের পাঠদানের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় । এরই আওতায় এ উপজেলায় ৯৩ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পায়।
এসব শিক্ষক যাতে প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের জ্ঞান, মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ ও নৈতিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদানে পারদর্শী হয় এজন্য তাদেরকে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।
তবে নীতিমালায় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের আপ্যায়ন, বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাদের মানসম্মত খাবার ও উপকরণ সরবরাহ না করে রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর সুফিয়া পারভীন এসব বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা ।
এবিষয়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা তদন্ত সাপেক্ষে তাদের শাস্তির দাবি তুলে রংপুরের প্রাথমিক শিক্ষার উপ-পরিচালক ও রংপুর পিটিআই সুপারিন্টেন্ডেট এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘যেখানে আমাদের প্রতিদিন প্রশিক্ষণ ভাতা ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা, খাবার বাবদ ধরা হয়েছে ২৮০ টাকা, ব্যাগ বাবদ ৫০০ টাকাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উপকরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও আমাদের তারা সে উপকরণ সরবরাহ করেনি। প্রশিক্ষণ শেষে আমদের জন প্রতি শিক্ষকদের ভাতা ১৩ হাজার ২০০ টাকা দেয়ার কথা কিন্তু তারা আমাদের কাছে ১৩ হাজার ২০০ টাকার স্বাক্ষর স্টাম্পে নিলেও আমাদের দিয়েছে ১০ হাজার ২৭০ টাকা । এ বিষয়ে রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর সুফিয়া পারভীন স্যারের কাছে জোরালো দাবি তুললে তিনি ও তার সহকর্মীরা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নিবেন বলে ভয়ভীতি দেখান । তাই আমরা বাধ্য হয়ে উদ্ধতন স্যারদের কাছে লিখিত অভিযোগ করি।
নুরাইষা আক্তার নামে শিক্ষিকা জানান, ‘আমরা এখানকার স্যার ম্যাডামদের বার বার বলেছিলাম আমাদের টাকাগুলো দিয়ে দেন তারা আমাদের উল্টো বলেন এগুলো এভাবেই চলে । উল্টো আমাদের কাছেই ১৪৬ টাকা করে দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর সুফিয়া পারভীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার এবিষয়ে আর কিছুই বলার নাই । ওরা ওদের প্রাপ্য যা টাকা চাচ্ছে আমি সব সময়েই দিতে রাজি। তাদের সাথে একটা ভুল বোঝা বুঝি হয়েছিলো।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম চাঁদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সেখানে গিয়ে দেখলাম খাতা,কলম ফাইলসহ অন্যান্য সামগ্রীতে অনিয়ম হয়েছে। আমি শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বলছি যা হয়েছে এরপর যেন আর এমন ধরনের ঘটনা না ঘটে।
এবিষয়ে রংপুরের পিটিআই সুপারিন্টেন্ডেট রেজাউল হক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি আমার কর্মকর্তার কাছে জবাব চেয়েছি । আমি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।