কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস:বিদ্যালয় বন্ধ
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডা আর তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমাঙ্কের পারদ ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। সকাল ১১ পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে প্রকৃতি ছিলো ঘন কুয়াশায় ঢাকা ফলে দিনের মধ্যে যানবাহন গুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশী ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এ অবস্থায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মত কাজে বের হতে পারছে না। টানা ৮ দিন পর গতকাল দুপুরে সৃর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রামের বেলগাছা ইউনিয়নের সোলেমন মিয়া বলেন, আজ সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে কুয়াশায় , কয়েক হাত দূরের বস্তু দেখা যায় না। সেই সঙ্গে হাড় কাপানো খুব ঠান্ডা। আমরা বয়স্ক মানুষ আমাদের খুব সমস্যা। এমন যে আরও কয়দিন থাকে আল্লাহয় জানে।
একই এলাকার কৃষি শ্রমিক আলমগীর হোসেন বলেন, কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা, আমারগুলার কাজ করা খুব কষ্ট হইছে। আজ আরও ঠান্ডা বেশি হাত- পা পরফ হয়ে যাচ্ছে। যতই শীত ও ঠান্ডা হোক না কেন কাজ করায় লাগে আমাদের। না হলে পেটে ভাত জোটে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর নীচে নেমে আসায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা ভেবেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।