রংপুর বিভাগ

ঐতিহ্যের স্বাদ গ্রহণে গাইবান্ধায় পিঠা উৎসব

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের পিঠার স্বাদ নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে গাইবান্ধা শহরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে এবং খন্দকার সায়েরা জাহান মেমোরিয়াল হাসপাতাল সৌজন্যে আয়োজিত ‘পিঠা উৎসব ২০২৫’ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শেষ হয়েছে। শুক্রবার এ উৎসব শুরু হয়।
আয়োজকরা জানায়, উৎসবের প্রথম দিনে ১২ প্রকারের প্রায় ৭০০ পিঠা প্রস্তুত ও পরিবেশিত হয়। পিঠাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ পিঠা এবং নকশি পিঠা। প্রতিটি পিঠা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রস্তুত করা হয় এবং এর স্বাদ ও গুণগত মান অতিথিদের মন জয় করে।

এছাড়া পিঠার পাশাপাশি, বিশেষ আকর্ষণ ছিল ছয় প্রকারের চা। যেমন- লেবু চা, আদা চা, দুধ চা, এবং কমলা ও মালটা চা। চায়ের প্রতিটি ধরণ অতিথিদের স্বতন্ত্র অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং তাদের উৎসবের আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
এ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলো সবার সামনে তুলে ধরা এবং একে নতুনভাবে প্রাসঙ্গিক করে তোলা। উৎসবটি শুধুমাত্র পিঠা উপভোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি ছিল বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ।
অনুষ্ঠানটিতে আসা আব্দুল জলিল সরকার নামের এক ব্যক্তি বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি সমাজে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সুযোগ করে দেয়, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের দক্ষ ও নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবক দল পিঠা উৎসবকে সাফল্যের উচ্চতায় পৌঁছে দিতে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। তারা পিঠা প্রস্তুত থেকে শুরু করে অতিথিদের মাঝে পরিবেশন এবং উৎসবের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জিহাদ আকন্দ বলেন, আগামীতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই ধরনের আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এতে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের পিঠা ও সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা ও পরিচিতির সুযোগ তৈরি হবে।