শিক্ষা

অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ, বেরোবি শিক্ষক তাবিউরকে বরখাস্তের দাবি

অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধানের চাকরি স্থায়ীকরণ স্থগিত ও সাময়িক বরখাস্তসহ আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী।

লিখিত দাবিতে মাহমুদুল হক বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এ ১৩ জানুয়ারি ২০১২ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে বিজ্ঞাপিত প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক দুইটি পদের জন্য নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে নিয়োগ বাছাইবোর্ড অপেক্ষমাণ তালিকার প্রথম মোহা. মাহামুদুল হক এবং নিয়ামুন নাহারকে দ্বিতীয় হিসেবে সুপারিশ করে। নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সুপারিশে বলা হয়, ‘চূড়ান্তভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত আবেদনকারী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করতে অপারগ হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রথমজনকে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হলো। অপেক্ষমাণ তালিকার প্রথমজন যোগদানে অপারগ হলে অপেক্ষমাণ তালিকার দ্বিতীয় জনকে নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করা হলো।’ তিনি আরও বলেন, মেধা তালিকা থেকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত একজন যোগদান না করায় অপেক্ষমাণ তালিকার প্রথম হিসেবে আমাকে (মোহা. মাহামুদুল হক) যোগদান করানোর কথা। কিন্তু আমাকে নিয়োগ না দিয়ে বাছাইবোর্ডের সুপারিশবিহীন প্রার্থী তাবিউর রহমান প্রধান জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ পায়। তিনি উল্লেখ করেন, নিয়োগ বাছাইবোর্ডের সুপারিশপত্রে অপেক্ষমাণ তালিকায় তৃতীয়জনের কোন সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও তাবিউর রহমান জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পান। এতে বাছাইবোডের্র সুপারিশ ও ২২তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অমান্য করাসহ জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

লিখিত দাবিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এছাড়া প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ বাছাইবোর্ড এবং সহযোগী/অধ্যাপক নিয়োগ বাছাইবোর্ড দু’টি পৃথক বোর্ড। তাবিউর রহমান প্রধান দরখাস্ত করেছিলেন প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক (দুইটি শূন্য পদ) এর বিপরীতে প্রভাষক পদে। অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক পদ বিজ্ঞাপিত হলেও এ পদে কোনো নিয়োগ বাছাইবোর্ড অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে বিজ্ঞাপিত অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক পদও ব্লক থেকে যায়। তাবিউর রহমান অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক পদের বিপরীতে কোন দরখাস্তও করেননি। অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক পদ বিজ্ঞাপিত থাকা অবস্থায় এবং উক্ত পদে কোনো বাছাইবোর্ড অনুষ্ঠিত না হওয়া সত্ত্বেও তাবিউর রহমান প্রধান (যদিও প্রভাষক পদে আবেদন করেছিল) প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক পদের বিপরীতে নিয়োগ পায়। এটাও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।