রোহিত-কোহলির টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার কারণ জানালেন মোরে
ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির ফেরা নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ১৪ মাস ধরে জাতীয় দলে এই ফরম্যাটের বাইরে থাকায় তাদের ফেরাটা ভালোভাবে নেননি অনেকে। অনেকে আবার অভিজ্ঞ ও ইনফর্ম দুই তারকাকে দলে পেয়ে একই সাথে বিস্মিত ও আনন্দিত। এমন পরিস্থিতিতে দলটির সাবেক প্রধান নির্বাচক কিরণ মোরে কী ভাবছেন?
মোরে মনে করেন, ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকার কারণেই আরেকটি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কোহলি ও রোহিতকে দলে ফিরিয়েছে বিসিসিআই। নিউজ ১৮’কে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন মোরে।
‘তাদেরকে (বিরাট ও রোহিত) দলে নেওয়া হয়েছে তাদের সাম্প্রতিক ফর্মকে মাথাতে রেখেই। দুই বছর পরে বদলে গেছে নির্বাচকদের মতামত। আমি জানিনা নির্বাচকদের আগের ভাবনা কী ছিল? তবে দুজনেই সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে কিন্তু দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও তাদেরকে বেশ ভালো ফর্মে মনে হয়েছে। আর সেই কারণেই আমি মনে করি ওদের বিষয়ে ফের চিন্তা ভাবনা করছে ভারতীয় বোর্ড।’
বিশ্বকাপের পর এই দুই তারকাকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ভারত। যেখানে নবীন তারকারা যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছেন।
কোহলি ও রোহিত সবশেষ এই ফরম্যাটে ভারতের হয়েছে খেলেছেন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়াতে হওয়া এই বিশ্বকাপে ৯৮.৬৬ গড়ে করেছিলেন ২৯৬ রান। এমসিজিতে পাকিস্তানের অনবদ্য ৮২ রানের ইনিংস খেলে খাদের কীনারা থেকে তুলে জিতিয়েছিলেন দলকে।
এরপর নিয়মিত খেলেছেন আইপিএলে। বেঙ্গালুরুর হয়ে শেষ মৌশুমে ৫৩.২৫ গড়ে করেছিলেন ৬৩৯ রান। অন্যদিকে রোহিত শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করেছিলেন ১১৬ রান। গত আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের হয়ে তিনি করেন ৩৩২ রান।
ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছে ভারত। যদিও ফাইনালে তারা হার মানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তবে টুর্নামেন্ট জুড়েই দলের পারফরম্যন্স ছিল দুর্দান্ত। আর তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিত ও কোহলি। দুজনের ব্যাটেই ছিল রানের ফোয়ারা।
বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে কিরণ মোরে আরও যোগ করেন, ‘যেভাবে রোহিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করেছে তা অনবদ্য। আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালেও গিয়েছিলাম। বেশ কিছু অনবদ্য ইনিংসও খেলেছে রোহিত। যে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেছে। এজন্য রোহিতকে নিয়ে নির্বাচকদের মনোভাব বদলে গেছে। আর সেই কারণেই তাদেরকে দলে ফেরানো হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এটা সুখবর।’